বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি করেছে জলদস্যুরা। এ সময় ওই ট্রলারে থাকা ১১ জেলেকে জিম্মি করে মারধর করা হয়। এছাড়া ১০ লাখ টাকার মাছ ও মালামালও লুট করে নেওয়া হয়।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
এর আগে, গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গভীর বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার দুপুরে ঘাটে ফিরে জেলেরা এ তথ্য জানান।
আহত জেলেদের মালিকের পক্ষ থেকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলেদের বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
জেলেদের বরাত দিয়ে এফবি রুনু ট্রলারের মালিক কালাম খান জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি পর গত ২১ নভেম্বর পাথরঘাটা থেকে এফবি রুনু নামের একটি ট্রলারে ১১ জেলে গভীর বঙ্গোপসাগরে রওনা দেয়। সেখানে মাছ শিকার করে গতকাল ঘাটে ফিরে আসার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ২২–২৫ জনের একটি জলদস্যু বাহিনী ট্রলারটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ১১ জেলেকে জিম্মি করে প্রথমে মুক্তিপণ চায়। পরে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ট্রলারে থাকা ১১ জেলেকে মারধর করে প্রায় ৬ লাখ টাকার ইলিশ মাছ ও ৪ লাখ টাকার জাল লুটে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, ফিরে আসা জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয় পাথরঘাটা থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘জলদস্যুরা ১০ লাখ টাকার মাছ ও জাল লুটে নিয়ে জেলেদের মারধর করে পাঠিয়ে দেয়। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছি। দীর্ঘ দিন পর আবারও সাগরে জলদস্যুরা হানা দেওয়ায় উপকূলীয় জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে জলদস্যুরা কোন বাহিনীর তা জানা যায়নি।’
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কাজ চলছে।