বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার টিএম শাহ আলমের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেছেন শিক্ষা অফিসের ২ কর্মকর্তা।
উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে অনুপস্থিত ও অফিসের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না করে সরকারের নিয়ম নীতি না মেনে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে মাসের পর মাস বেতন ভাতা উত্তোলন করে চলছে তার ব্যাচেলার জীবন।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোসাম্মৎ খাদিজা খানম ও রনজিত চন্দ্র মিস্ত্রি পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার টি এম শাহ আলমের দুর্নীতি অনিয়ামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয় উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রণজিৎ চন্দ্র মিস্ত্রি বলেন, বিভিন্ন বিদ্যালয় পরিদর্শনে যাওয়ার আগের দিন ওই বিদ্যালয়ের প্রধানকে ডেকে মধ্যাহ্ন ভোজের বিলাসবহুল খাবারের তালিকা তিনি দিয়ে থাকেন। অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি রয়েছে যাহা আমি আবেদনপত্রে উল্লেখ করছি।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোছাম্মৎ খাদিজা খানম বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার এর বেআইনি নিয়ম-কানুন দায়িত্ব পালন না করার কারণে তিনি আমাকে পূর্বের তারিখ দেখিয়ে পরিবর্তন করেন যা সম্পূর্ণ বেআইনি। এমনকি এস.এম. সি নির্বাচন অফিসে বসেই তিনি করতে বলেন।
শিক্ষকরা তার সাথে তাল মিলিয়ে না চললে বিনা কারনে তাদের শোকজ দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন বিদ্যালয় এর কমিটির সভাপতি তিনি যাকে মনোনীত করবেন তাকে বানাতে হবে এবং সেখানে তিনি উপস্থিত থাকেন। অফিসের দুর্নীতির তথ্য কে ফাঁস করে এ নিয়ে তিনি আমাদের সাথে রূঢ় আচরণ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, আমার সাথে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসিক মিটিংয়ে শিক্ষকদের উপস্থিতিতে রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দিয়েছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা তার অফিসের নিজস্ব কিছু লোকের মাধ্যমে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও দাপ্তরিক কাজের কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে থাকেন। বারবার বদলি হওয়ার পরেও তিনি তদবির করে পাথরঘাটা থেকে যান। আমরা এর কারণ জানতে চাই।
কিছুদিন আগে পাথরঘাটা প্রেস ক্লাবের সংবাদ সম্মেলন জাতীয় পত্রিকায় দুর্নীতির বিষয় নিয়ে তার বিরুদ্ধে নিউজ হয়েছে। এর আগে তিনি যেখানে ছিলেন সেখানেও তার দুর্নীতি বিষয় নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় একাধিকবার নিউজ হয়েছে।
অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয় উপজেলা শিক্ষা অফিসার টি এম শাহ আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার অফিসের তথ্য যারা ফাঁস করে তাদের অনেক দুর্নীতি আমার কাছে প্রমাণ সহ রয়েছে। হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করি নাই এটা আমি সমস্যা মনে করি না।
পাথরকাটা উপজেলার চেয়ারম্যান গোলাম কবির বলেন, আমার কাছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেন- এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসে নাই। আসলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টা আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। তবে টিও এরকম অনিয়ম করা ঠিক হয় নাই।