ঢাকা ১১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাউফলে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় দুইজনকে কুপিয়ে জখম

  • বি.এম.মুহাইমিনুল
  • আপডেট সময় : ১১:৪৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩
  • ১৩১ খবরটি দেখা হয়েছে

পটুয়াখালীর বাউফলে মোছা. লিমা (১৯) নামের এক গৃহবধূকে ইভ টিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় স্বামী হৃদয় আকন (২৩) ও লিমার বাবা মো. ইমরানকে (৪৮) কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে মো. ইমরানকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (৫ জুলাই) রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের বান্দের বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত হৃদয় আকন দাসপাড়া ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আর মো. ইমরানের বাড়ি চরআলগী গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দা ও আহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৪ জুলাই) একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে হৃদয় আকনের স্ত্রী লিমাকে ইভ টিজিং করেন একই এলাকার নাসির মৃধার ছেলে মো. মিরাজ হোসেন (১৮)।

বিষয়টি লিমা তার বাবা মো. ইমরান ও স্বামী হৃদয়কে জানালে মো. ইমরান মিরাজের বাবা নাসিরের কাছে অভিযোগ দেন। কিন্তু নাসির উল্টো ছেলের পক্ষ নিয়ে ইমরানের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এটা শুনে ক্ষুব্ধ হন হৃদয় আকন। বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে হৃদয় এ বিষয়টি বান্দের বাজার এলাকায় বসে উত্তেজিত হয়ে মুঠোফোনে একজনকে জানাচ্ছিলেন।

সেই সময় নাসিরের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল দেশি অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ইমরান ও হৃদয়ের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ইমরানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাসিরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ করে অসুস্থ আছেন বলে তার ভাই মো. বাবলুর সঙ্গে কথা বলতে বলেন। বাবলু বলেন,‘বুধবার সকালে ইমরানের নেতৃত্বে কয়েকজন আমার ভাতিজা মিরাজকে মারধর করে। এ ঘটনার জেরে রাতে দুই পক্ষের মারামারি হয়েছে। রাতের মারামারির ঘটনায় সাইদুল (২৫), মো. চান মিয়া (৫০) ও মো. নাসির (৩০) নামে আমাদের তিন স্বজন আহত হয়েছেন।’

ইমরান ও তার মেয়ের জামাই হৃদয়কে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় তার ভাই নাসির ও ভাতিজা মিরাজ জড়িত নয় বলে দাবি করেন মো. বাবলু। এ বিষয়ে বাউফল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

আজ সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে

বাউফলে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় দুইজনকে কুপিয়ে জখম

আপডেট সময় : ১১:৪৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩

পটুয়াখালীর বাউফলে মোছা. লিমা (১৯) নামের এক গৃহবধূকে ইভ টিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় স্বামী হৃদয় আকন (২৩) ও লিমার বাবা মো. ইমরানকে (৪৮) কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে মো. ইমরানকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (৫ জুলাই) রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের বান্দের বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত হৃদয় আকন দাসপাড়া ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আর মো. ইমরানের বাড়ি চরআলগী গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দা ও আহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৪ জুলাই) একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে হৃদয় আকনের স্ত্রী লিমাকে ইভ টিজিং করেন একই এলাকার নাসির মৃধার ছেলে মো. মিরাজ হোসেন (১৮)।

বিষয়টি লিমা তার বাবা মো. ইমরান ও স্বামী হৃদয়কে জানালে মো. ইমরান মিরাজের বাবা নাসিরের কাছে অভিযোগ দেন। কিন্তু নাসির উল্টো ছেলের পক্ষ নিয়ে ইমরানের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এটা শুনে ক্ষুব্ধ হন হৃদয় আকন। বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে হৃদয় এ বিষয়টি বান্দের বাজার এলাকায় বসে উত্তেজিত হয়ে মুঠোফোনে একজনকে জানাচ্ছিলেন।

সেই সময় নাসিরের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল দেশি অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ইমরান ও হৃদয়ের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ইমরানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাসিরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ করে অসুস্থ আছেন বলে তার ভাই মো. বাবলুর সঙ্গে কথা বলতে বলেন। বাবলু বলেন,‘বুধবার সকালে ইমরানের নেতৃত্বে কয়েকজন আমার ভাতিজা মিরাজকে মারধর করে। এ ঘটনার জেরে রাতে দুই পক্ষের মারামারি হয়েছে। রাতের মারামারির ঘটনায় সাইদুল (২৫), মো. চান মিয়া (৫০) ও মো. নাসির (৩০) নামে আমাদের তিন স্বজন আহত হয়েছেন।’

ইমরান ও তার মেয়ের জামাই হৃদয়কে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় তার ভাই নাসির ও ভাতিজা মিরাজ জড়িত নয় বলে দাবি করেন মো. বাবলু। এ বিষয়ে বাউফল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।