ঢাকা ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাত-পা বেঁধে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া সেই গৃহবধূর মৃত্যু

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় প্রকাশ্যে কেরোসিন ঢেলে আগুনে ঝলসে দেওয়া গৃহবধূ হালিমা আক্তার মীম মারা গেছেন। শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মীমের মামা ওমর ফারুক হাওলাদার, স্বামী প্রিন্সের খালু লাল মিয়া হাওলাদার এবং দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বশার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে  উপজেলার নতুন বাজার সংলগ্ন শাহজাহান মুন্সির (দারোগা) ভাড়াটে বাসায় মীমের হাত, পা, মুখ বেঁধে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে পালিয়ে যায় দুই দুর্বৃত্ত। আগুনে ওই গৃহবধূর হাত বুক, পেটসহ শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়। ঝলসে যায় তার শিশু সন্তান ওয়ালিফ হোসেন জিসানের হাত-মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান।

স্থানীয়রা তার ডাক চিৎকারে দরজা খুলে তাদের উদ্ধার করেন। চিকিৎসার জন্য তাদের প্রথমে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ ইনিস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে ভর্তি হতে না পেরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন তারা। শুক্রবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মীম।

মীম উপজেলার দুমকি সাতানি গ্রামের জামাল হোসেন প্রিন্সের স্ত্রী। চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে তারা শাহজাহান দারোগার ভাড়াটে বাসায় বসবাস করছিল।

দুমকি অফিসার ইনচার্জ আবুল বশার জানান,  মিমের মামা ওমর ফারুক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে শুক্রবার দুপুরে মিমের শাশুড়ি পিয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার তাকে আদালতে সোপার্দ করা হবে। তিনি আরো বলেন,  তদন্ত চলমান রয়েছে, ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হবে।

ট্যাগ :

আজ সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে

হাত-পা বেঁধে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া সেই গৃহবধূর মৃত্যু

আপডেট সময় : ১০:৩৬:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় প্রকাশ্যে কেরোসিন ঢেলে আগুনে ঝলসে দেওয়া গৃহবধূ হালিমা আক্তার মীম মারা গেছেন। শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মীমের মামা ওমর ফারুক হাওলাদার, স্বামী প্রিন্সের খালু লাল মিয়া হাওলাদার এবং দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বশার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে  উপজেলার নতুন বাজার সংলগ্ন শাহজাহান মুন্সির (দারোগা) ভাড়াটে বাসায় মীমের হাত, পা, মুখ বেঁধে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে পালিয়ে যায় দুই দুর্বৃত্ত। আগুনে ওই গৃহবধূর হাত বুক, পেটসহ শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়। ঝলসে যায় তার শিশু সন্তান ওয়ালিফ হোসেন জিসানের হাত-মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান।

স্থানীয়রা তার ডাক চিৎকারে দরজা খুলে তাদের উদ্ধার করেন। চিকিৎসার জন্য তাদের প্রথমে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ ইনিস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে ভর্তি হতে না পেরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন তারা। শুক্রবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মীম।

মীম উপজেলার দুমকি সাতানি গ্রামের জামাল হোসেন প্রিন্সের স্ত্রী। চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে তারা শাহজাহান দারোগার ভাড়াটে বাসায় বসবাস করছিল।

দুমকি অফিসার ইনচার্জ আবুল বশার জানান,  মিমের মামা ওমর ফারুক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে শুক্রবার দুপুরে মিমের শাশুড়ি পিয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার তাকে আদালতে সোপার্দ করা হবে। তিনি আরো বলেন,  তদন্ত চলমান রয়েছে, ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হবে।