রাস্তার পাশে অন্যান্যের সাথে বসে সময় কাটানোর জন্য মঙ্গলবার দুপুরে তাস খেলছিলেন রফিক হাওলাদার (৫০)। এ সময় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন জেলার গৌরনদী মডেল থানার এসআই আবদুল হক সিকদার ও এক কনস্টেবল।
তিনি (এসআই) তাস খেলাকে জুয়া আখ্যায়িত করে ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে পুলিশের ধাওয়ার মুখে পালিয়ে যাওয়ার সময় পাটক্ষেতে পড়ে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে রফিক মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী ওই পুলিশ অফিসারের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, ঘটনাস্থল আগৈলঝাড়া থানা এলাকায় হওয়া সত্বেও বেআইনিভাবে গৌরনদী থানা পুলিশ ধাওয়া করেছে। যে কারণে রফিকের মৃত্যু হয়েছে। এলাকাবাসী ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ অফিসারের শাস্তির দাবি করেন। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার ভালুকশী গ্রামে। মৃত রফিক হাওলাদার উত্তর ভালুকশী গ্রামের আবদুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আগৈলঝাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ৯৯৯ এর ফোন পেয়ে ভালুকশী এলাকা দিয়ে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ মাগুড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় ভালুকশী এলাকার রাস্তার পাশে তাস খেলতে দেখে জুয়া ভেবে এসআই গাড়ি থামানোর পর আতঙ্কিত হয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যাবার সময় রফিক হাওলাদার পাশ্ববর্তী পাটক্ষেতে পরে স্টোক করেন। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন।
এ ব্যাপারে গৌরনদী মডেল থানার এসআই আবদুল হক সিকদারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিফ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।