বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনের নির্বাচনী প্রচারণার মাঠে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের গামছা প্রতীকের প্রার্থী সংগীতশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস।
ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার পাশাপাশি গানের সুরে সুরে প্রচারণা চালিয়ে এরইমধ্যে ভিন্ন এক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এই প্রার্থী।
গ্রামের সাধারণ মানুষও তাকে দেখে বেশ উচ্ছ্বসিত, অনেকেই আবার নকুল কুমার বিশ্বাসকে একনজর দেখার জন্য প্রচারণাস্থলে ছুটে যাচ্ছেন।
ভোটাররা বলছেন, নকুল কুমার বিশ্বাস নির্বাচনের মাঠে নতুন মুখ হলেও ভিন্নধর্মী প্রচারণা এরইমধ্যে তাকে আলোচনায় নিয়ে এসেছেন। বানারীপাড়া উপজেলার বাসিন্দা কালু ঘরামি বলেন, নকুল দাদা যে দলের হয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন, তাদের বানারীপাড়ায় সাংগঠনিক তৎপরতা তেমন ছিলে না। তবে দাদা প্রার্থী হয়ে আসার পরে যেখানেই গণসংযোগে যাচ্ছেন সেখানেই নারী-পুরুষ ভোটারসহ শিশু-কিশোররাও জড়ো হয়ে যাচ্ছেন।
একই উপজেলার বাসিন্দা সীমা বলেন, নকুল দা প্রচারে নেমে লাইন তুলে দিলেই পাশে থাকা কর্মী-সমর্থকরা সেগুলো গানের মতো করে বলতে থাকেন। তাদের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ ভোটাররাও গানের সুরে সুরে গামছার পক্ষে স্লোগানও দেয়। যা প্রচারণায় ভিন্নতা এনে দিচ্ছে। আর নকুল দা’ তার স্ত্রীসহ সবাই এমনভাবে কথা বলেন, যে কারও সাধ্য হবে না তারা আমাদের আপন নন সেটি বোঝানোর। অনেকে তো নকুল কুমার বিশ্বাস ও তার পরিবারকে নিজেদের সাধ্যমতো সংবর্ধনাও দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় প্রচারণা চালিয়েছেন নকুল কুমার বিশ্বাস। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, প্রচারণায় তার সঙ্গে কর্মী-সমর্থকরা ছিলেন। আর তাদের মাঝেই বাদ্যযন্ত্র ছিল। যেখানে তিনি ভোট চেয়েছেন, চালিয়েছেন ঢাকের তালে তালে গানের সুরে সুরে নিজের প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা।
তার প্রচারণায় সুরে সুরে কখনো বলা হচ্ছে- ‘দে দে দে গামছাতে সিল মেরে দে’ আবার কখনও সুরে সুরে বলা হচ্ছে ‘ওহ জরিনা গামছাতে দিবি সিল মারিয়া’ কিংবা ‘ওহ ছকিনা গামছাতে দিবি সিল মারিয়া। ’ এছাড়াও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের প্রতীক চিনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে গানে সুর দেন তিনি।
নকুল কুমার বিশ্বাস বলেন, আমি জীবনে চিন্তাও করিনি মানুষের এত সাড়া পাব। যেখানে যাচ্ছি সেখানেই জনস্রোত হচ্ছে। আমি যথেষ্ট চেষ্টা করছি, আমার মনে হয় এতদিন প্রচার করছি এবং তাতে ভোটাররা যথেষ্ট সাড়াও দিয়েছেন। তারা নিজের উদ্যোগে, টাকা খরচ করে নিজের শ্রম দিয়ে আমার সঙ্গে এসে দাঁড়িয়েছে।
নকুল বলেন, আমি নেতা হতে চাই না, আমি গণমানুষের সেবা করতে চাই। আমি আগেও বলেছি আমি দলাদলি চাই না, গলাগলি চাই, গোলাগুলি চাই না, কোলাকুলি চাই। স্লোগানে নয় গানে, রাজনীতিতে নয় কাজনীতিতে, তথাকথিত গণতন্ত্রে নয় মনতন্ত্রে বিশ্বাসী আমি।
তিনি আরও বলেন, আমরা লড়াই করতে আসিনি, ভালোবাসা করতে এসেছি। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীকে কখনও আমরা শত্রু ভাবি না। আমরা সবাই মিলেমিশে কাজ করব, আমি জয়ী হলে সবাইকে নিয়ে কাজ করব।