পটুয়াখালী শহরের ঝাউতলা এলাকায় ফুটপাতের পাশে দেখা মিলছে বোতল দিয়ে তৈরি করা এক অভিনব ডাস্টবিনের। শুধু ঝাউতলা এলাকা নয়, শহরের বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট এবং জুবলি স্কুল এলাকাতেও রয়েছে এই বোতল ডাস্টবিন। পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল সংগ্রহ করে তা দিয়ে তৈরি এই ডাস্টবিন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নাগরিকদের সম্পৃক্ত করতে এবং যত্রতত্র ময়লা না ফেলার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমাতে পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বানানো হয়েছে ডাস্টবিনগুলো। এই উদ্যোগ নিয়েছেন পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল হাসান রাইয়ান। তিনি পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক। ব্যক্তি উদ্যোগে তিনি বৃহস্পতিবার শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তিনি ৫টি ডাস্টবিন স্থাপন করেছেন। এ উদ্যেগের বিষয়ে মাহমুদুল হাসান রাইয়ান বলেন, আমাদের শহরের বিভিন্ন জায়গায় মানুষ ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বোতলগুলো ফেলে রাখে।
যা পরিবেশের অনেক বড় ক্ষতি করে, তাই আমি চিন্তা করি এসব পরিত্যক্ত বোতলগুলো কাজে লাগিয়ে মানুষকে কীভাবে সচেতন করা যায়। এরপর এই উদ্যোগ গ্রহণ করি। রাইয়ান আরও বলেন, পরীক্ষামূলক ৫টি ডাস্টবিন তৈরি করেছি। এখন আরও তৈরি করে শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দেবো। আমার কাছে ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে এমন একটি উদ্যোগ গ্রহণ করতে পেরে ভালো লাগছে। এটি স্মার্ট বাংলাদেশের একটি উদাহরণ। অভিনব এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন শহরের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে আশপাশের দোকানদার, পথচারী এবং এই এলাকায় আসা বিভিন্ন পেশার মানুষ।
পটুয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান সালেহীন বলেন, ইচ্ছা থাকার পরও অনেক সময় পর্যাপ্ত ডাস্টবিনের অভাবে আমরা নির্দিষ্ট যায়গায় প্লাস্টিকের বর্জ্য ফেলতে পারি না। দেখতে একটু ভিন্ন আকৃতির হওয়ায় এই উদ্যোগ আমাদের প্লাস্টিকের মোড়ক আর বোতলগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে উৎসাহ দিচ্ছে।
ঝাউবন এলাকায় ঘুরতে আসা তাসনিম জাহান বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে আমাদের প্লাস্টিক বর্জ্য যত্রতত্র না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলা উচিত। কিন্তু সেই ডাস্টবিন আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ তেমন দেখতে পাই না। এটি ভালো উদ্যোগ।
প্লাস্টিকের বর্জ্য দিয়ে ভরে গেলে বোতল আকৃতির এই ডাস্টবিনগুলো পটুয়াখালী পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা পরিষ্কার করে দিচ্ছেন।