ঢাকা ১০:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চরমোনাইতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সুজন চন্দ্রের দোকানে প্রেমিকার অনশন

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৪:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০২৩
  • ৮১ খবরটি দেখা হয়েছে

বরিশাল সদর উপজেলা চরমোনাইতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সুজন চন্দ্র দাসের (৩২) দোকানে অনশন করছেন প্রেমিকা। শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে এ রিপোর্ট লেখার সময় প্রেমিকের দোকানে অবস্থান করছিলেন প্রেমিকা।

এর আগে সোমবার সদর উপজেলা চরমোনাই ইউনিয়নের পশ্চিম চরমোনাই ৭ নং ওয়ার্ড বিশ্বাসের হাট এলাকায় প্রেমিক সুজন চন্দ্র দাসের (৩২) দোকানে অনশন শুরু করেন প্রেমিকা নিশিতা রানী।

নিশিতা রানী (২৫) পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার পশ্চিম লক্ষীপুর ৫নং ওয়ার্ডের নিখিল চন্দ্র মাঝী মেয়ে।

জানা গেছে- ৭ বছর আগে বিবাহ অন্য একজেনর সাথে বন্ধনে আবদ্ধ হন নিশিতা রানী। তাদের সংসারিক জিবন ভালোই ছিলো। নিশিতা রানী ছোট ভাই বিবাহ অনুষ্ঠানে সুজন চন্দ্র দাসের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে সুজন-নিশিতার মধ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথোপকথন হতো। এ পর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের পরে তাদের মাঝে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্কও গড়ে ওঠে।

নিশিতা রানী বলেন- আমার জীবনের সব কিছু শেষ করে দিয়েছে সুজন। আমাকে আমার স্বামীর কাছ থেকে ত্যাগ করিয়েছে। আমি আমার স্বামীকে তালাক দিয়ে ওর এখানে চলে আসি। আমি চলে আসার পরে এখন সুজন আমাকে চেনে না। আমি বিয়ের দাবীতে এখানে এসেছি। হয় আমাকে বিয়ে করবে না হয় আমি আত্মহত্যা করবো। আমি ৪/৫দিন হলো এখানে এসেছি। আমাকে সুজনের পরিবারের লোকজন একাধিকবার মারধরও করেছে। আমি এর ঘটনার বিচার চাই।

স্থানীয় একটি মহল আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে বলে জানিয়েছেন অনশনরত নিশিতা।

স্থানীয়রা জানান, মেয়েটি এসেছে আমরা জানি কিন্তু পারিবারিক ভাবে আমরা কিছু করতে পারছি না।

এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয়ভাবে বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’

ট্যাগ :

আজ সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে

চরমোনাইতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সুজন চন্দ্রের দোকানে প্রেমিকার অনশন

আপডেট সময় : ০৬:৪৪:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০২৩

বরিশাল সদর উপজেলা চরমোনাইতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সুজন চন্দ্র দাসের (৩২) দোকানে অনশন করছেন প্রেমিকা। শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে এ রিপোর্ট লেখার সময় প্রেমিকের দোকানে অবস্থান করছিলেন প্রেমিকা।

এর আগে সোমবার সদর উপজেলা চরমোনাই ইউনিয়নের পশ্চিম চরমোনাই ৭ নং ওয়ার্ড বিশ্বাসের হাট এলাকায় প্রেমিক সুজন চন্দ্র দাসের (৩২) দোকানে অনশন শুরু করেন প্রেমিকা নিশিতা রানী।

নিশিতা রানী (২৫) পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার পশ্চিম লক্ষীপুর ৫নং ওয়ার্ডের নিখিল চন্দ্র মাঝী মেয়ে।

জানা গেছে- ৭ বছর আগে বিবাহ অন্য একজেনর সাথে বন্ধনে আবদ্ধ হন নিশিতা রানী। তাদের সংসারিক জিবন ভালোই ছিলো। নিশিতা রানী ছোট ভাই বিবাহ অনুষ্ঠানে সুজন চন্দ্র দাসের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে সুজন-নিশিতার মধ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথোপকথন হতো। এ পর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের পরে তাদের মাঝে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্কও গড়ে ওঠে।

নিশিতা রানী বলেন- আমার জীবনের সব কিছু শেষ করে দিয়েছে সুজন। আমাকে আমার স্বামীর কাছ থেকে ত্যাগ করিয়েছে। আমি আমার স্বামীকে তালাক দিয়ে ওর এখানে চলে আসি। আমি চলে আসার পরে এখন সুজন আমাকে চেনে না। আমি বিয়ের দাবীতে এখানে এসেছি। হয় আমাকে বিয়ে করবে না হয় আমি আত্মহত্যা করবো। আমি ৪/৫দিন হলো এখানে এসেছি। আমাকে সুজনের পরিবারের লোকজন একাধিকবার মারধরও করেছে। আমি এর ঘটনার বিচার চাই।

স্থানীয় একটি মহল আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে বলে জানিয়েছেন অনশনরত নিশিতা।

স্থানীয়রা জানান, মেয়েটি এসেছে আমরা জানি কিন্তু পারিবারিক ভাবে আমরা কিছু করতে পারছি না।

এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয়ভাবে বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’