ঢাকা ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলাপাড়ায় জেলের এক জালে উঠে এলো ৯৬ মণ ইলিশ

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১২:০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৩
  • ৮৭ খবরটি দেখা হয়েছে

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ৯৬ মণ ইলিশ। যার বর্তমান বাজার মূল্য পেয়েছে ৩৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে এসব মাছ মৎস্য বন্দর মহিপুরের ফয়সাল ফিস আড়তে নিয়ে আসা হয়। পরে এসব মাছ ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ফজলু গাজী।

জানা যায়, এফবি ভাই ভাই নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে পাঁচদিন আগে নোয়াখালীর সামরাজ থেকে গভীর সাগরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যান জেলেরা। মিজান মাঝি (৪৫) নামের এক জেলে নিজেই ওই ট্রলারের মালিক। কয়েকদিন সাগরে জাল ফেলার পরও তাদের জালে মেলেনি কোনো মাছ। পরে রোববার পায়রা বন্দরের শেষ বয়ার দিকে সাগরে জাল ফেলার পর একটানে ধরা পড়ে ৯৬ মণ ইলিশ।

মিজান মাঝি বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে এই প্রথম এত মাছ পেয়েছি। এর আগে এত মাছ কখনো পাইনি। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় অনেকে ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে পড়ি। মাছ বিক্রির টাকায় ধারদেনা শোধ করবো। একবারে এত মাছ পেয়ে আমি অনেক আনন্দিত।

মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ফজলু গাজী জানান, নোয়াখালীর মিজান মাঝির জালে এ মৌসুমের সবচেয়ে বেশি মাছ ধরা পড়েছে। তবে অন্যান্য জেলের জালে তেমন বেশি মাছ ধরা পড়ছে না। অনেক জেলের সাগরে যাওয়া আসার খরচও মেলে না।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, বর্তমানে ইলিশের মৌসুম চলছে। শুধু মিজান নয়, আমরা আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সব জেলের জালেই ধরা পড়বে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ।

ট্যাগ :

আজ সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে

কলাপাড়ায় জেলের এক জালে উঠে এলো ৯৬ মণ ইলিশ

আপডেট সময় : ১২:০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৩

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ৯৬ মণ ইলিশ। যার বর্তমান বাজার মূল্য পেয়েছে ৩৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে এসব মাছ মৎস্য বন্দর মহিপুরের ফয়সাল ফিস আড়তে নিয়ে আসা হয়। পরে এসব মাছ ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ফজলু গাজী।

জানা যায়, এফবি ভাই ভাই নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে পাঁচদিন আগে নোয়াখালীর সামরাজ থেকে গভীর সাগরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যান জেলেরা। মিজান মাঝি (৪৫) নামের এক জেলে নিজেই ওই ট্রলারের মালিক। কয়েকদিন সাগরে জাল ফেলার পরও তাদের জালে মেলেনি কোনো মাছ। পরে রোববার পায়রা বন্দরের শেষ বয়ার দিকে সাগরে জাল ফেলার পর একটানে ধরা পড়ে ৯৬ মণ ইলিশ।

মিজান মাঝি বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে এই প্রথম এত মাছ পেয়েছি। এর আগে এত মাছ কখনো পাইনি। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় অনেকে ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে পড়ি। মাছ বিক্রির টাকায় ধারদেনা শোধ করবো। একবারে এত মাছ পেয়ে আমি অনেক আনন্দিত।

মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ফজলু গাজী জানান, নোয়াখালীর মিজান মাঝির জালে এ মৌসুমের সবচেয়ে বেশি মাছ ধরা পড়েছে। তবে অন্যান্য জেলের জালে তেমন বেশি মাছ ধরা পড়ছে না। অনেক জেলের সাগরে যাওয়া আসার খরচও মেলে না।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, বর্তমানে ইলিশের মৌসুম চলছে। শুধু মিজান নয়, আমরা আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সব জেলের জালেই ধরা পড়বে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ।