ঢাকা ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অসহায় মানুষের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রীর অনেক অবদান: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, অসহায় ও সহায় সম্বলহীন মানুষের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা করছেন, তা কল্পনাতীত। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর কোনো সরকারই এসব অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করেনি, তাদের স্থায়ী পুনর্বাসনের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

শনিবার দুপুরে পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের সুফলভোগীদের মধ্যে উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রভাবশালীদের দখলে থাকা সরকারি খাস জমি থেকে তাদের উচ্ছেদ করে প্রধানমন্ত্রী সেখানে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য পাকা ভবন তৈরি করে তাদের হাতে দলিল তুলে দিয়েছেন। বিনা পয়সায় প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে, করা হয়েছে সুপেয় পানির ব্যবস্থা।

করোনাকালীন বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হয়েছে, যা বিশ্বের সম্পদশালী দেশগুলোও করতে পারেনি। ১০৯ ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সুযোগ পাচ্ছে অসচ্ছল, বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধী, বেদেসহ গ্রামীণ জনপদের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর লাখ লাখ নারী-পুরুষ ও শিশু।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তা-চেতনাই হচ্ছে কাউকে পিছে রেখে নয়- সবাইকে সমান সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এগিয়ে যাওয়া, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করা।

তিনি বলেন, এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে উপকূলীয় চরাঞ্চলে দরিদ্র পরিবারের পুষ্টি ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, নারীদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলা, লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস করা এবং মুরগী-হাঁস-ভেড়ার ক্ষুদ্র খামার স্থাপনের মাধ্যমে ডিম ও মাংসের উৎপাদন বাড়ানো।

সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, সেবা এবং জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তরুন কান্তি সিকদার।

প্রসঙ্গত, উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের পিরোজপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ২ হাজার ৫৩০ জন দরিদ্র পরিবার সরাসরি সুফলভোগী হিসেবে উপকৃত হবে। প্রতি ইউনিয়নে ১০০ জন ভেড়া পালন সুফলভোগী নির্বাচন করা হয়েছে।

তাদের তিনদিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ও প্রত্যেককে তিনটি করে ভেড়া, ৭৫ কেজি ৬০০ গ্রাম ভেড়ার খাবার, একটি করে ভেড়ার ঘর এবং ভেড়ার রোগ বালাই ও চিকিৎসার জন্য ওষুধ ও ভেকসিন দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগ :

আজ সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে

অসহায় মানুষের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রীর অনেক অবদান: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৮:৩১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, অসহায় ও সহায় সম্বলহীন মানুষের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা করছেন, তা কল্পনাতীত। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর কোনো সরকারই এসব অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করেনি, তাদের স্থায়ী পুনর্বাসনের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

শনিবার দুপুরে পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের সুফলভোগীদের মধ্যে উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রভাবশালীদের দখলে থাকা সরকারি খাস জমি থেকে তাদের উচ্ছেদ করে প্রধানমন্ত্রী সেখানে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য পাকা ভবন তৈরি করে তাদের হাতে দলিল তুলে দিয়েছেন। বিনা পয়সায় প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে, করা হয়েছে সুপেয় পানির ব্যবস্থা।

করোনাকালীন বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হয়েছে, যা বিশ্বের সম্পদশালী দেশগুলোও করতে পারেনি। ১০৯ ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সুযোগ পাচ্ছে অসচ্ছল, বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধী, বেদেসহ গ্রামীণ জনপদের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর লাখ লাখ নারী-পুরুষ ও শিশু।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তা-চেতনাই হচ্ছে কাউকে পিছে রেখে নয়- সবাইকে সমান সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এগিয়ে যাওয়া, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করা।

তিনি বলেন, এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে উপকূলীয় চরাঞ্চলে দরিদ্র পরিবারের পুষ্টি ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, নারীদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলা, লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস করা এবং মুরগী-হাঁস-ভেড়ার ক্ষুদ্র খামার স্থাপনের মাধ্যমে ডিম ও মাংসের উৎপাদন বাড়ানো।

সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, সেবা এবং জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তরুন কান্তি সিকদার।

প্রসঙ্গত, উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের পিরোজপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ২ হাজার ৫৩০ জন দরিদ্র পরিবার সরাসরি সুফলভোগী হিসেবে উপকৃত হবে। প্রতি ইউনিয়নে ১০০ জন ভেড়া পালন সুফলভোগী নির্বাচন করা হয়েছে।

তাদের তিনদিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ও প্রত্যেককে তিনটি করে ভেড়া, ৭৫ কেজি ৬০০ গ্রাম ভেড়ার খাবার, একটি করে ভেড়ার ঘর এবং ভেড়ার রোগ বালাই ও চিকিৎসার জন্য ওষুধ ও ভেকসিন দেওয়া হয়েছে।