ঢাকা ০৮:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবসরে গেলেন শেবাচিমের চক্ষু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ ডিবি পাল

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০২:৩২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০২৩
  • ১০০ খবরটি দেখা হয়েছে

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ ডিবি পাল’র সরকারি চাকুরী জীবনের অবসরোত্তর বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় হাসপাতালের ৩য় তলার মেডিসিন সভা কক্ষে এই বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। চক্ষু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাঃ শফিকুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ এইচ এম সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ জিএম নাজিমুল হক, চক্ষু বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ নিজাম উদ্দিন ফারুক ও ডাঃ নাসির উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক ডাঃ জুয়েল ইলিয়াস রব, আবাসিক সার্জন ডাঃ মোকলেছুর রহমান, ডাঃ রেজওয়ান আবেদীন, ডাঃ প্রিয়াংকা দাস প্রমুখ। বাঘেরহাটের সন্তান ডাঃ ডিবি পাল। তার কর্মময় জীবন-যৌবন কেটেছে বরিশালে। সেই ১৯৮২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৪০ বছর তিনি বরিশালের মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সরকারী চাকুরী জীবন থেকে অবসন নিয়েছেন তিনি। বরিশালে চক্ষু চিকিৎসার আধুনিক রুপকার নামে খ্যাত ডাঃ দেবব্রত পাল (ডাঃ ডিবি পাল) সরকারী চাকুরী জীবন থেকে অবসর নিলেও তিনি তার বাকী জীবন বরিশালবাসীর সেবায় কাটিয়ে দিবেন বলে প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছেন। তার আবদানে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চালু হয়েছে রেটিনা ও ফ্যাকো মেশিন (সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, এখানে খুবই ছোট ছিদ্রের মাধ্যমে ছানি অপসারন ) সার্ভিসসহ স্নাতকউত্তর ডিগ্রি চালু হয়েছে। তাইতো তার আবদানের প্রতি সন্মাননা জানাতে তারই বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন অধ্যাপক ডাঃ নিজাম উদ্দিন ফারুক ও ডাঃ নাসির উদ্দিনসহ অসংখ্য সিনিয়র চিকিৎসক। ১৯৬৪ সালে বাঘেরহাটের রামপালের সগুনা গ্রামের অনিল কৃষ্ণ পাল ও চারুকলা পালের সংসারে জন্ম গ্রহন করেন দেবব্রত পাল (ডিবি পাল)। তিন ভাই আর চার বোনের সংসার তাদের। তিনি ওই পরিবারে মেঝ সন্তান। ১৯৭৯ সালে এসএসসি, ১৯৮১ সালে এইচএসসি পাশের পর ১৯৮২ সালে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে ১৩ তম ব্যাচে এমবিবিএস ভর্তি হন। সেই থেকেই বরিশাল জুড়ে তার পদচারনা। ১৯৮৮ সালে এমবিবিএস পাশের পর তিনি এখানে ইন্টানী করেন। ১৯৯১ সালের জানুয়ারীতে ভা-ারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার পদে সরকারি কর্মময় জীবন শুরু হয় তার। তিনি ১৯৯৭ ও ২০০৪ সালে জাতীয় চক্ষু ইন্টিটিউট থেকে ডিও ও যথাক্রমে এমএস পাশ করেন। এরপর বরিশাল সদর হাসপাতালে জুনিয়ার ও পর্যায়ক্রমে সিনিয়র কনসালটেন্ট হন। পরবর্তিতে ডাঃ ডিবি পাল বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেজিস্ট্রার ও পরে কলেজে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং সবশেষ অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়ে ২০১৭ সালের ৩১ আগষ্ট চক্ষু বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ব্যক্তিগত পারিবারিক জীবনে তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। তার দুই সন্তান চিকিৎসক এবং একজন সন্তান প্রকৌশলী। স্ত্রী ডাঃ নিলিমা রানী দেবনাথ ফামাকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পদে কর্মরত আছেন।

ট্যাগ :

আজ সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে

অবসরে গেলেন শেবাচিমের চক্ষু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ ডিবি পাল

আপডেট সময় : ০২:৩২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০২৩

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ ডিবি পাল’র সরকারি চাকুরী জীবনের অবসরোত্তর বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় হাসপাতালের ৩য় তলার মেডিসিন সভা কক্ষে এই বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। চক্ষু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাঃ শফিকুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ এইচ এম সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ জিএম নাজিমুল হক, চক্ষু বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ নিজাম উদ্দিন ফারুক ও ডাঃ নাসির উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক ডাঃ জুয়েল ইলিয়াস রব, আবাসিক সার্জন ডাঃ মোকলেছুর রহমান, ডাঃ রেজওয়ান আবেদীন, ডাঃ প্রিয়াংকা দাস প্রমুখ। বাঘেরহাটের সন্তান ডাঃ ডিবি পাল। তার কর্মময় জীবন-যৌবন কেটেছে বরিশালে। সেই ১৯৮২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৪০ বছর তিনি বরিশালের মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সরকারী চাকুরী জীবন থেকে অবসন নিয়েছেন তিনি। বরিশালে চক্ষু চিকিৎসার আধুনিক রুপকার নামে খ্যাত ডাঃ দেবব্রত পাল (ডাঃ ডিবি পাল) সরকারী চাকুরী জীবন থেকে অবসর নিলেও তিনি তার বাকী জীবন বরিশালবাসীর সেবায় কাটিয়ে দিবেন বলে প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছেন। তার আবদানে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চালু হয়েছে রেটিনা ও ফ্যাকো মেশিন (সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, এখানে খুবই ছোট ছিদ্রের মাধ্যমে ছানি অপসারন ) সার্ভিসসহ স্নাতকউত্তর ডিগ্রি চালু হয়েছে। তাইতো তার আবদানের প্রতি সন্মাননা জানাতে তারই বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন অধ্যাপক ডাঃ নিজাম উদ্দিন ফারুক ও ডাঃ নাসির উদ্দিনসহ অসংখ্য সিনিয়র চিকিৎসক। ১৯৬৪ সালে বাঘেরহাটের রামপালের সগুনা গ্রামের অনিল কৃষ্ণ পাল ও চারুকলা পালের সংসারে জন্ম গ্রহন করেন দেবব্রত পাল (ডিবি পাল)। তিন ভাই আর চার বোনের সংসার তাদের। তিনি ওই পরিবারে মেঝ সন্তান। ১৯৭৯ সালে এসএসসি, ১৯৮১ সালে এইচএসসি পাশের পর ১৯৮২ সালে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজে ১৩ তম ব্যাচে এমবিবিএস ভর্তি হন। সেই থেকেই বরিশাল জুড়ে তার পদচারনা। ১৯৮৮ সালে এমবিবিএস পাশের পর তিনি এখানে ইন্টানী করেন। ১৯৯১ সালের জানুয়ারীতে ভা-ারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার পদে সরকারি কর্মময় জীবন শুরু হয় তার। তিনি ১৯৯৭ ও ২০০৪ সালে জাতীয় চক্ষু ইন্টিটিউট থেকে ডিও ও যথাক্রমে এমএস পাশ করেন। এরপর বরিশাল সদর হাসপাতালে জুনিয়ার ও পর্যায়ক্রমে সিনিয়র কনসালটেন্ট হন। পরবর্তিতে ডাঃ ডিবি পাল বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেজিস্ট্রার ও পরে কলেজে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং সবশেষ অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়ে ২০১৭ সালের ৩১ আগষ্ট চক্ষু বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ব্যক্তিগত পারিবারিক জীবনে তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। তার দুই সন্তান চিকিৎসক এবং একজন সন্তান প্রকৌশলী। স্ত্রী ডাঃ নিলিমা রানী দেবনাথ ফামাকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পদে কর্মরত আছেন।