ঢাকা ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাউফলে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত -৩

  • স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৪:২৫:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৮৭ খবরটি দেখা হয়েছে

পটুয়াখালী জেলার বাউফলে জমি জমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই পরিবারের তিন সদস্যকে কুপিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই পরিবারের তিন জনকে মারধরের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে স্থানীয়রা।

আহতরা হলেন মৃত মজিবুল হক শরিফের ছেলে মাহফুজ ও তার চাচা ইসহাক শরীফের ছেলে আলতাফ শরীফ এবং ভাইয়ের বউ মৌসুমী আক্তার।

নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আহত মাহফুজ মুমূর্ষ অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আহত সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার বাসিন্দা মৃত ইয়াসিন শরীফ গংদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত ভুক্তভোগী পরিবারের জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টা নিয়ে গত ১ বছর পূর্বে ৬ নং কনদীয়া ইউনিয়নে একটি অভিযোগ করলে স্থানীয় শালীশ মীমাংসার মাধ্যমে বিষয়টি সুরহ হয়। এতে মাহফুজ ও তার চাচা আলতাফ শরীফ প্রতিপক্ষের ভিতর জমি পেলে প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। সেই থেকেই বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগী পরিবারকে অকথ্য ভাষা গালিগালাজ করে আসছিল ঐ সন্ত্রাসীরা । এ নিয়ে উভয়ের মাঝে দ্বন্দ্ব বিরাজমান।

ঘটনা দিন আহত মাহফুজ তার নিজ জমিতে সীমানার বেড়া দেওয়ার জন্য যায়। তাই প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মৃত ইয়াসিন শরীফের নাতিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায়।

হামলাকারীরা হলো তরিকুল শরীফ, মিরাজ শরীফ, রিয়াজ শরীফ, ফয়েজ শরীফ ,শহিদুল সরদার, আফরোজা, ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হুমায়ন সহ অজ্ঞাত ৬/৭জন ।

এ সময় সন্ত্রাসীর হামলায় মাহফুজ শরীফের ডান পা ও বাম হাত ভেঙে যায় ও সারা শরীরে নীলা ফুলা জখম হয়। এ সময় তারা চিৎকার শুনে আলতাফ ও মৌসুমী ছুটে আসলে তাদেরকে ও বেধরক পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।

পরে দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। স্থানীয়রা আহত মাহফুজকে তৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে।

সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রবিবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শেবাচিমে প্রেরণ করে। বর্তমানে তিনি এ হাসপাতালের পুরুষ অর্থপেডিক্স ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে ।

এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও আহতের স্বজনরা আরো জানান।

ট্যাগ :

খুলনার দাকোপে বাধ ভেঙে পানি ঢুকছে লোকলয়ে

বাউফলে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত -৩

আপডেট সময় : ০৪:২৫:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

পটুয়াখালী জেলার বাউফলে জমি জমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই পরিবারের তিন সদস্যকে কুপিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই পরিবারের তিন জনকে মারধরের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে স্থানীয়রা।

আহতরা হলেন মৃত মজিবুল হক শরিফের ছেলে মাহফুজ ও তার চাচা ইসহাক শরীফের ছেলে আলতাফ শরীফ এবং ভাইয়ের বউ মৌসুমী আক্তার।

নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আহত মাহফুজ মুমূর্ষ অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আহত সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার বাসিন্দা মৃত ইয়াসিন শরীফ গংদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত ভুক্তভোগী পরিবারের জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টা নিয়ে গত ১ বছর পূর্বে ৬ নং কনদীয়া ইউনিয়নে একটি অভিযোগ করলে স্থানীয় শালীশ মীমাংসার মাধ্যমে বিষয়টি সুরহ হয়। এতে মাহফুজ ও তার চাচা আলতাফ শরীফ প্রতিপক্ষের ভিতর জমি পেলে প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। সেই থেকেই বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগী পরিবারকে অকথ্য ভাষা গালিগালাজ করে আসছিল ঐ সন্ত্রাসীরা । এ নিয়ে উভয়ের মাঝে দ্বন্দ্ব বিরাজমান।

ঘটনা দিন আহত মাহফুজ তার নিজ জমিতে সীমানার বেড়া দেওয়ার জন্য যায়। তাই প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মৃত ইয়াসিন শরীফের নাতিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায়।

হামলাকারীরা হলো তরিকুল শরীফ, মিরাজ শরীফ, রিয়াজ শরীফ, ফয়েজ শরীফ ,শহিদুল সরদার, আফরোজা, ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হুমায়ন সহ অজ্ঞাত ৬/৭জন ।

এ সময় সন্ত্রাসীর হামলায় মাহফুজ শরীফের ডান পা ও বাম হাত ভেঙে যায় ও সারা শরীরে নীলা ফুলা জখম হয়। এ সময় তারা চিৎকার শুনে আলতাফ ও মৌসুমী ছুটে আসলে তাদেরকে ও বেধরক পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।

পরে দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। স্থানীয়রা আহত মাহফুজকে তৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে।

সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রবিবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শেবাচিমে প্রেরণ করে। বর্তমানে তিনি এ হাসপাতালের পুরুষ অর্থপেডিক্স ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে ।

এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও আহতের স্বজনরা আরো জানান।